প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
নারায়ণগঞ্জ জেলায় মোট ১ হাজার ৩ শ ২৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৩৩ জন । মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৬ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ১৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৮৫ জন। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়প্রাপ্ত ৬৬৭ জন। ১ মার্চ থেকে ১১মে পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ৬১২৯ জন। বিদেশ ফেরতদের মধ্যে ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত ১৩২০ জন। সোমবার ( ১১ মে ) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ৬ টি। কোভিড-১৯ এর জন্য প্রস্তুতকৃত বেড ৩০ টি।
ডাক্তারের সংখ্যা ৯০ জন। নার্সের সংখ্যা ১৭৩ জন। এম্বুলেন্সের সংখ্যা ০৬ টি। বেসরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র ৭২ টি
। কোভিড-১৯ এর জন্য প্রস্তুতকৃত বেড ৭২ টি। ডাক্তারের সংখ্যা ১০০ জন। নার্সের সংখ্যা ১৮০ জন।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রি (পিপিই) এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২,৫০৮ টি। ১১ মে মজুদ রয়েছে ১,৫৯৭ টি।
আইইডিসিআর কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ জেলাকে করোনা সংক্রমণ প্রবন ও ঝুকিপূর্ণ এলাকা বিবেচিত হওয়ায় আইইডিসিআর প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া এ কার্যালয়ে স্থাপিত জেলা মনিটরিং সেল ও কন্ট্রোলরুম ২৪ ঘন্টা চালু রাখা আছে। উক্ত কন্ট্রোলরুমে প্রাপ্ত অভিযোগ ও পরামর্শের বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তার অংশ হিসেবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলাসমূহে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ তাদের স্ব-স্ব এলাকায় সরকারিভাবে প্রাপ্ত এবং স্থানীয় উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত এ পর্যন্ত মোট ৯৭,০০,০০০/- (সাতানব্বই লক্ষ) টাকা ও ২৩০০ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য উপ বরাদ্দ প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রায় ২,৩০,০০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্যের জন্য এ জেলায় ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ সকল উপজেলায় উপ বরাদ্দ প্রদান করার কাজ চলমান।
উল্লেখ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ৪মে ৪৭৫ নং স্মারকের মাধ্যমে ২৫০ মে.টন চাল, ত্রাণ কার্যোর জন্য ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা এবং শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ২,০০,০০০/- টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বেসরকারী উদ্যোগে প্রাপ্ত মানবিক সহায়তার মধ্যে ৪৮০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা এবং ৪১,০০,০০০/- (এক চল্লিশ লক্ষ) টাকা চেকের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৪৬০১ প্যাকেট খাবার ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। কোন উপকার ভোগী যেন বাদ না পড়ে এবং দ্বৈততা পরিহারের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার মানবিক কাজে উদ্যোগী বিত্তশালী ব্যক্তি/সংগঠন/এনজিও কোন খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ২০ নং নির্দেশনা অনুযায়ী আবশ্যিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নেয়ার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সবধরণের জনসমাগম, জটলা পরিহার করার জন্য এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারা গেছেন ১ জন ও শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯ জন। নতুন করে মারা যাওয়া ব্যক্তির (৪৫) মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হয়। সোমবার (১১ মে) সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ।
নাসিক এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬৯৯ জন, সদর উপজেলায় ৪৭৫, বন্দর উপজেলায় ২৯, আড়াইহাজারে ৩৫, সোনারগাঁয়ে ৫৪ ও রূপগঞ্জে ৩৬ জন। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মারা গেছেন ৩৯ জন, সদরে ১৩, বন্দরে ১, রূপগঞ্জে ২ ,সোনারগাঁয়ে ২ জন।